Karimganj Upazila

 

Karimganj (Bengali: করিমগঞ্জ (কিশোরগঞ্জ)) is an Upazila of Kishoreganj District in the Division of Dhaka, Bangladesh

Geography

Karimganj is an upazila (sub-district) of Kishoreganj, located at 24.4583°N 90.8833°E. It has 43445 households and total area 200.52 km². The area is full of greenery with water bodies surrounding the land. 

 

 


করিমগঞ্জ উপজেলার পটভূমি

কিশোরগঞ্জজেলার একটি উপজেলা হচ্ছে করিমগঞ্জ। নামটির প্রথম অংশ করিম এবং দ্বিতীয়অংশ গঞ্জ এ দুটির সংযোগে হয়েছে করিমগঞ্জ। অর্থ্যাৎ করিম কর্তৃক প্রতিষ্ঠিতবাজার বা গঞ্জ। কে এই করিম? করিমগঞ্জ স্থানটি কোন করিমের অধীনে ছিল কি-নাতা যাচাই ও ইতিহাস পর্যালোচনায় ঈশা খাঁর সময়ে (১৫৩৭-১৫৯৯) বাংলার বারভূঁইয়ার মধ্যে করিমদাদ মূসাজাঁই নামে একজনের নাম জানা যায়। তবে তিনি অত্রএলাকায় বসতি স্থাপন করেছিলেন কি-না তা জানা যায়নি। করিমদাদ মূসাজাইছাড়া এ এলাকায় সম্পৃক্ত আর যে দুজন করিমের নাম পাওয়া যায়; তারা হলেনবৌলাই সাহেব বাড়ীর প্রতিষ্ঠাতা মোগল প্রতিনিধি আল শায়খ আব্দুল করিম ওঅন্য জনের নাম সি.এস. রেকর্ডে তালুক করিম খাঁ নামে উল্লেখ আছে। তিনিআনুমানিক ১৬২৫ সালে এ অঞ্চলে আগমন করেন। অন্য জন ঈশা খাঁর ১০ম অধঃস্তনকরিমদাদ খাঁ।

জমিদারীআমলে করিমগঞ্জ বাজারটি বৌলাই জমিদার বাড়ীর অধীনে ছিল। ফলে এটি বৌলাইবাড়ীর পূর্ব পূরুষ মীরে বহর আল শায়খ আব্দুল করিম এর নাম থেকে করিমগঞ্জনামকরণ হয়েছে বলে ধরে নেয়া যায়। ঈশা খাঁর বংশের করিমদাদ খাঁ উনিশ শতকেরপ্রথম দিকের লোক এবং করিমগঞ্জ তার জমিদারীর আওতাধীন ছিল না।

স্বাধীনচেতা জমিদারনেতা বীর ঈশা খাঁর বিদ্রোহ মোগম সম্রাটকে ব্যতিব্যস্ত করে তুলেছিল।বিদ্রোহ দমনের জন্য মোগল নৌ সেনাপতি, বৌলাই সাহেব বাড়ীর প্রতিষ্ঠাতা মীরেবহর আল শায়খ আব্দুল করিম এঁর নামানুসারেই এ অঞ্চল করিমগঞ্জ নামে পরিচিতিলাভ করে।

১৯০৬খ্রিঃ সরকারী নোটিশের মাধ্যমে ভৈরব, অষ্টগ্রাম, নাগপুর, মীর্জাপুর, ঘাটাইল, সরিষাবাড়ী, বারহাট্টা, মাদারগঞ্জ, খালিয়াজুরী ও মুক্তাগাছা'কেপূর্নাঙ্গ থানা করা হয়। ১৯০৯-১৯১০ সালে পাকুন্দিয়া, হোসেনপুর, করিমগঞ্জ ওতাড়াইল থানা স্থাপন করা হয়। তখন থেকেই করিমগঞ্জ নামটি ব্যাপকতা লাভ করে।

এক নজরে করিমগঞ্জ

  • আয়তনঃ ২০০.৫২ বর্গ কি:মি:
  • জনসংখ্যাঃ ২,৫১,৮২০ জন
  • জনসংখ্যার ঘনত্বঃ ১২৫৬ জন(প্রতি কি:মি:)

·         পুরুষঃ১,২৬,৩২০ জন

·         মহিলাঃ১,২৫,৫০০ জন

  • নির্বাচনী এলাকাঃ কিশোরগঞ্জ-৩

  • ইউনিয়নঃ ১১টি
  • মৌজাঃ ৮৫টি
  • পৌরসভাঃ ০১টি
  • সরকারী হাসপাতালঃ ০১টি
  • স্বাস্থ্যকেন্দ্র/ ক্লিনিকঃ ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র- ০৭টি, কমিউনিটি ক্লিনিক- ৩৩টি
  • পোস্ট অফিসঃ ১১টি
  • নদ-নদীঃ ০৪টি
  • হাট-বাজারঃ ৩৮টি

  • ব্যাংকঃ কৃষি ব্যাংক- ০২টি, সোনালী ব্যাংক- ০২টি, অগ্রণী ব্যাংক- ০১টি
  • গেস্ট হাউজঃ ০২টি
  • মোট আবাদী জমির পরিমাণঃ ১৪,৮৭০ হেক্টর
  • মোট ফসলী জমিঃ ৩১,৪১০ হেক্টর

    ইউনিয়ন সমূহ

     

    ইউনিয়ন পরিষদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ইউনিয়ন পরিষদের নামের পাশে লিংক-এ ক্লিক করুন

     

    ১ নং কাদিরজঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদ- http://kadirjangalup.kishoreganj.gov.bd/

    ২ নং গুজাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ-  http://gujadiaup.kishoreganj.gov.bd/

    ৩ নং কিরাটন ইউনিয়ন পরিষদ- http://kiratonup.kishoreganj.gov.bd/

    ৪ নং বারঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ- http://karimgonj.kishoreganj.gov.bd/

    ৫ নং নিয়ামতপুর ইউনিয়ন পরিষদ- http://karimgonj.kishoreganj.gov.bd/

    ৬ নং দেহুন্দা ইউনিয়ন পরিষদ- http://dehundaup.kishoreganj.gov.bd/

    ৭ নং সুতারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ- http://sutarparaup.kishoreganj.gov.bd/

    ৮ নং গুনধর ইউনিয়ন পরিষদ- http://gunodharup.kishoreganj.gov.bd/

    ৯ নং জয়কা ইউনিয়ন পরিষদ- http://joykaup.kishoreganj.gov.bd/

    ১০ নং জাফরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ- http://zafrabadup.kishoreganj.gov.bd/

    ১১ নং নোয়াবাদ ইউনিয়ন পরিষদ- http://noabadup.kishoreganj.gov.bd/

    করিমগঞ্জ উপজেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য 


     

    বাংলার সমতল ভূমিতে সর্পিল নদী বেষ্টনে পলল অঞ্চলের এক গভীরঐতিহ্যের বিস্তৃতউর্বর ভূমি পূর্ব ময়মনসিংহ অঞ্চল।ব্রহ্মপুত্র নদের বন্ধন সূত্রে এবং স্রোতবাহিত পলি দিয়ে গড়ে উঠেছে এর গ্রামাঞ্চল।শাখা নদী ও উপ নদীর বেষ্টনে গড়ে উঠেছে সরলভাগ্যান্বেষী, মৎস্যজীবী, শরণার্থী ও আদিবাসীদের মিশ্রিত জন সমাজ।

    এ বিস্তৃতজন সমাজে নিক্ষিপ্ত হয়েছে অর্জুনের গাম্ভীর, ঝলসে উঠেছে ঈশা খাঁ'রতরবারী - এরই বুকেঝলসে উঠেছে ব্রিটিশ কামান, পাকিস্তানীদের বুলেট।এর একদিকে বীরত্বপূর্ণ গণসংগ্রামের ইতিহাস, অন্যদিকে লোক সাহিত্য ও লোকজশিল্পের বিশ্বখ্যাত ঐতিহ্য।ব্রহ্মপুত্রের পূর্বে এবং হাওড় অঞ্চলের পশ্চিম সংলগ্ন এক বিস্তৃতপলিবাহিত সমতল ভূমি, অধূনা খ্যাত ভাটি অঞ্চলের সিংহদ্বার যার পূর্বে- নিকলী ও ইটনা উপজেলা, পশ্চিমে কিশোরগঞ্জ সদর, উত্তরে তাড়াইল ও ইটনা উপজেলা, দক্ষিণে নিকলী ও কিশোরগঞ্জ সদর।এ বেষ্টনে প্রায় দুইশতাধিক বর্গ কিঃমিঃ অঞ্চলনিয়েকরিমগঞ্জউপজেলা -লোক ঐতিহ্য ও বীরত্বে ইতিহাস খ্যাত।


    ১৫৭৫ খ্রীষ্টাব্দের দিকে ঈশা খাঁ আকবরের শক্তিশালী বাহিনীর মোকাবেলা করেন।কয়েক বছরের মধ্যেই তিনি জমিদার নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন এবংসোনারগাঁয়ে তার রাজধানী স্থাপন করেন।এসময়ে কুচ রাজার নিকট থেকে জঙ্গলবাড়ী দূর্গ দখল করে নেন এবং ভাটি অঞ্চলেরশাসন কার্য পরিচালনা ও নিরাপত্তার কারণে জঙ্গলবাড়ীতে দ্বিতীয় রাজধানীস্থাপন করেন।আবার এ সময়ে অর্থ্যাৎ১৫৭৫ খ্রিষ্টাব্দের দিকে জঙ্গলবাড়ীর অদূরে বাংলা সাহিত্যের মধ্য যুগেরশ্রেষ্ঠ মহিলা কবি চন্দ্রাবতী পাতুয়াইর গ্রামের বিদগ্ধ ভাষাণ গায়কদ্বীজবংশীরঘরে জন্মগ্রহণ করেন এবং পিতৃগৃহে বসে রচনা করেন বাংলা ভাষার একমাত্র লোকজ রামায়ন।ঠিক তখনই সুচি শিল্পের উন্নতিতে জঙ্গলবাড়ী বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছিল।জঙ্গলবাড়ী মসলিন কাপড়ের জন্য জগত বিখ্যাত হয়েছিল।জঙ্গলখাস, নয়নমুখ নামক সূক্ষ সুতার তৈরী মসলিন মোগল সম্রাটদের দরবারে সাদরে গৃহীত হয়েছিল।এর প্রমাণ পাওয়া যায় ১৯০০ শতকের প্রথমার্ধে জেমস্‌ টেলরের বর্ণনায়।তিনি উল্লেখ করেছিলেন জঙ্গলবাড়ীতে প্রায় ১০০ ঘর মসলিন তাঁতি পরিবার ছিল।

    মধ্যযুগে চন্দ্রাবতী, ঈশা খাঁ, মসলিন শিল্প, বংশীদাস এবং কুচরাজা ও তাদের ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য বিখ্যাত করিমগঞ্জেও সময়ের সাথে সাথে ঘটেছে পরিবর্তন।ফলে এক দিকে ভাব সংগীত, ভাষাণ গান আর গ্রাম্য পালা গানের যেমন পল্লী কবিরা রচনা করেছিলেনজীবন ঘনিষ্ট গীত ও গীতিকা।অন্যদিকে কৃষক আন্দোলন, স্বদেশীআন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতাযুদ্ধ ইত্যাদিতে করিমগঞ্জের বীর সন্তানেরা রেখেছেনঅবদান।

    বিখ্যাত"মৈমনসিংহ গীতিকা'র" শিল্পীত সাহিত্য রত্নের পরশে করিমগঞ্জ গর্বিত।বীরত্ব গাথা, সুচি শিল্প আর সংগ্রামী চেতনার এক উর্বর লীলাভূমি করিমগঞ্জ।দ্বীজবংশী দাস, চন্দ্রাবতীর পাশে ইশা খাঁ, বীরঙ্গনা সখিনা, কমর উদ্দিন হোসাইন, মুন্সী আজিম উদ্দিন এঁরা করিমগঞ্জের ইতিহাসকে করেছেন সমৃদ্ধ।

    প্রাকৃতিক সম্পদ

    করিমগঞ্জ উপজেলায় তেমন কোন প্রাকৃতিক সম্পদ নেই তবে  হাওড়, নদী, খাল বিল ইত্যাদি অত্র উপজেলায় রয়েছে। তাছাড়া ঈশা খাঁ বাড়ী, গুজাদিয়া আখড়া, চামটা বন্দর এলো দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিচিত। জমিদারীআমলে করিমগঞ্জ বাজারটি বৌলাই জমিদার বাড়ীর অধীনে ছিল। ফলে এটি বৌলাইবাড়ীর পূর্ব পূরুষ মীরে বহর আল শায়খ আব্দুল করিম এর নাম থেকে করিমগঞ্জনামকরণ হয়েছে বলে ধরে নেয়া যায়। ঈশা খাঁর বংশের করিমদাদ খাঁ উনিশ শতকেরপ্রথম দিকের লোক এবং করিমগঞ্জ তার জমিদারীর আওতাধীন ছিল না।

    স্বাধীনচেতা জমিদারনেতা বীর ঈশা খাঁর বিদ্রোহ মোগম সম্রাটকে ব্যতিব্যস্ত করে তুলেছিল।বিদ্রোহ দমনের জন্য মোগল নৌ সেনাপতি, বৌলাই সাহেব বাড়ীর প্রতিষ্ঠাতা মীরেবহর আল শায়খ আব্দুল করিম এঁর নামানুসারেই এ অঞ্চল করিমগঞ্জ নামে পরিচিতিলাভ করে।

    ১৯০৬খ্রিঃ সরকারী নোটিশের মাধ্যমে ভৈরব, অষ্টগ্রাম, নাগপুর, মীর্জাপুর, ঘাটাইল, সরিষাবাড়ী, বারহাট্টা, মাদারগঞ্জ, খালিয়াজুরী ও মুক্তাগাছা'কেপূর্নাঙ্গ থানা করা হয়। ১৯০৯-১৯১০ সালে পাকুন্দিয়া, হোসেনপুর, করিমগঞ্জ ও তাড়াইল থানা স্থাপন করা হয়। তখন থেকেই করিমগঞ্জ নামটি ব্যাপকতা লাভ

    করিমগঞ্জ উপজেলার প্রখ্যাত ব্যক্তিবর্গের নাম ও জীবনী

    ডঃ এমওসমান গণিঃবিরল সম্মানের অধিকারী আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্নশিক্ষাবিদ ও কৃষি বিজ্ঞানী ড. এম ওসমান গণি ১৯১৩ সালে করিমগঞ্জ উপজেলারগুজাদিয়া ইউনিয়নে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন।তিনিবাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্রালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চ্যান্সেলর, ১৯৬৩ সন হতে১৯৭০ সন পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর, তাঞ্জানিয়াররাষ্ট্রদূত, ১৯৭৯ সনে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীহিসেবে অঙশ গ্রহণ করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।হাওড় অঞ্চলে সেচের কাজেপাওয়ার পাম্প প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে কৃষি ক্ষেত্রে বিপ্লবের মাধ্যমে দেশকেখাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।

    এম.সাইদুজ্জামানঃকরিমগঞ্জ উপজেলার ভাটিয়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।তিনি সিভিল সার্ভিসের সদস্য ছিলেন এবং দীর্ঘদিন সরকারের বিভিন্নগুরুত্বপূর্ণ পদে চাকুরী করেন।পরবর্তীতে তিনি ১৯৮৪ সনে মূখ্য অর্থ সচিব ওঅর্থ উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন।

    ড. মিজানুলহকঃকরিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া ইউনিয়নের ড. মিজানুল হক বাংলাদেশপ্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন।১৯৯১ ও ১৯৯৬ সনের জাতীয় সংসদনির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

    ড. মুকন্দচক্রবর্তীঃতিনি গুজাদিয়ার রামনগর গ্রামে এক ব্রাহ্মন পরিবারোজন্মগ্রহণ করেন।তিনিই সম্ভবত করিমগঞ্জ উপজেলার প্রথম মাস্টার্স ডিগ্রীঅর্জন করেন।তিনি প্রেম চাদ ও রায় চাদ স্কলারধারী।

    ড. আসফাকুসসামাদঃকরিমগঞ্জ উপজেলার সতেরদরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।তিনিঅক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে ইংরেজী সাহিত্যে প্রথম শ্রেণীতে স্নাতকোত্তরডিগ্রী অর্জন করেন।

    সৈয়দ বদর উদ্দিন হোসাইনঃকরিমগঞ্জউপজেলার জংগলবাড়ী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।তিনি এ.এম কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেনএবং পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পদে দায়িত্ব পালন করেন।

    মুন্সিআজিম উদ্দিনঃগুজাদিয়া ইউনিয়নে জন্ম গ্রহণ করেন।পীর ও ধর্মীয়সংস্কারক ছিলেন।তিনি পুথি রচনা করে খ্যাতি অর্জন করেন।পরবর্তীতে তিনিদেহুন্দা ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা হন।তার কর্মজীবন অতিবাহিত হয় দেহুন্দাইউনিয়নে।বর্তমানে দেহুন্দা ইউনিয়নে তার নামে একটি এতিমখানা আছে। এই এতিমখানার পাশেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন।

    আতাউসসামাদঃআতাউস সামাদ করিমগঞ্জ উপজেলার হাত্রাপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণকরেন।তিনি দীর্ঘদিনব্যাপী সুনামের সহিত বিবিসি'র সাংবাদিকতার দায়িত্ব পালনকরেন।

    এ.কে.এম. মনসুরঃগুজাদিয়াতে জন্ম।আমেরিকার টেক্সাসএন.এম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এস. ডিগ্রী লাভ করেন।তিনি কৃষি মন্ত্রণালয়েরদায়িত্বপূর্ণ পদে আসীন ছিলেন।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক হিসেবেঅবসর গ্রহন করেন।

    সামছুল ইসলামঃগুজাদিয়ারকৃতি সন্তান।তিনি জিকে প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, পানি উন্নয়নবোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী এবং পরবর্তীতে উক্ত বোর্ডের সদস্য পদে কর্মরতছিলেন।

    মরহুম লেঃ কর্ণেল এ.টি.এম. হায়দারঃবীর উত্তম, জয়কা ইউনিয়ন।মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন।

    ক্যাপ্টেনডা: সিতারা বেগমঃবীর প্রতীক, জয়কা ইউনিয়ন।

    ইলিয়াসকাঞ্চনঃবিশিষ্ট চিত্র নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন করিমগঞ্জ উপজেলারআশুতিয়াপাড়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।তিনি প্রায় আড়াইশতাধিক বাংলাছায়াছবিতে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।বর্তমানে তিনি "নিরাপদসড়ক চাই" আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব পালন করে জাতীয় পর্যায়েঅবদান রাখছেন।

    শামীন আরা নিপাঃবিশিষ্টনৃত্যশিল্পী শামীম আরা নিপা করিমগঞ্জ উপজেলার খামার দেহুন্দা গ্রামেজন্মগ্রহণ করেন।নৃত্যশিল্পী হিসেবে দেশে ও বিদেশে সুনাম অর্জন করেন।বহুদেশ সফর করেছেন।

    রিজিয়া পারভীনঃকরিমগঞ্জউপজেলার জংগলবাড়ী গ্রামে বিশিস্ট গায়িকা রিরজিয়া পারভীন জন্ম গ্রহণ করেন।তিনি টি.ভি, রেডিও তে গান পরিবেশন ছাড়াও ছায়াছবিতে অনেক গান করেছেন।

       এছাড়াওকরিমগঞ্জের অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ব্যক্তিত্ব রয়েছেন। পরবর্তীতে ধাপেধাপে তাদের নামের তালিকা এখানে অন্তর্ভূক্ত করা হবে।

    করে।

    এক নজরে পৌরসভা

    1. পৌরসভার সংক্ষিপ্ত বিবরণ

    বাংলাদেশের জাতীয় ও উপমহাদেশের অন্যতম ঐতিহাসিক শোলাকিয়া জাতীয় ঈদ গাহ্ মাঠ নরসুন্দা নদের পাড়ে অবস্থিত। বাংলার বার ভূইয়ার এক ভূইয়া ঈশাখাঁ’র স্মৃতি বিজড়িত জঙ্গলবাড়ীর অনতি পূর্ব দিকে, বাংলা সাহিত্যের অন্যতম মহিলা পূরধা গুনবতী চন্দ্রবতী’র জন্ম ও বাসস্থান করিমগঞ্জ পৌরসভার অতি সন্নিকটে এবং নরসুন্দা নদের পাড়ে করিমগঞ্জ পৌরসভাটি অবস্থিত। পৌরসভার সন্নিকটে বাংলাদেশের নদী মাতৃকার অন্যতম স্থাপনা চামড়া বন্দর অবস্থিত। চামড়া বন্দরের দুরত্ব করিমগঞ্জ পৌরসভা হতে মাত্র ১০ (দশ) কিলোমিটার পূর্ব দিকে। প্রকাশ থাকে যে, কিশোরগঞ্জ জেলার অন্যতম কৃতি সমত্মানদের মধ্যে বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপ্রতি সৈয়দ নজরম্নল ইসলাম, সাবেক রাষ্ট্রপতি মোঃ জিলস্নুর রহমান, বর্তমান রাষ্ট্রপতি মহামান্য আব্দুল হামিদ এডভোকেট,  গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, বর্তমান সময়ের বহুল আলোচিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে গঠিত আমত্মর্জাতিক অপরাধ বিশেষ ট্রাইব্যুনালের ঢাকা বিভাগীয় প্রধান এম সানাউল হক, উপ মহাদেশের কৃষি গবেষক ও বৈজ্ঞানিক মরহুম ড. এম ওসমান গনি, বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত অভিনেতা ও নিরাপদ সড়ক চাই (নিস্চা)’র চেয়ারম্যান জনাব ইলিয়াস কাঞ্চন ও সুরের ভূবনে আলোড়ন সৃষ্টিকারী এক অন্যন্য প্রতিভার সঙ্গীত শিল্পী রিজিয়া পারভীন ও বিখ্যাত নৃত্য শিল্পী  শামীম আরা নীপা এর জন্মভূমি ঐতিহ্যবাহী  কিশোরগঞ্জ জেলা।

     

    করিমগঞ্জ পৌরসভাটি ২০০৩ সালের ৫মে প্রতিষ্ঠিত হয়। পৌরসভাটির আয়তন ৭.৮৫ বর্গ কিলোমিটার। ২০১১ ইং সালের নির্বাচনের পূর্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ অত্র পৌরসভার প্রশাসক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পৌরসভার ১ম নির্বাচনে মেয়র হিসাবে হাজ্বী আব্দুল কাইয়ুম বিজয়ী হওয়ার পর ১৬ ফেব্রায়ারী/২০১১ইং তারিখে দায়িত্বভার গ্রহণ করিয়া অত্র পৌর পরিষদ উন্নয়ন মূলক, সামাজিক, প্রশাসনিক, শিক্ষা সহ নানাবিধ জনকল্যাণ মূলক কাজ বাসত্মবায়ন করিয়া আসিতেছে। প্রয়োজনের তুলনায় সরকারী বরাদ্দ এবং জনবল অপ্রতুল থাকার কারণে আমত্মররিক ইচ্ছা থাকা সত্বেও সার্বিক কার্যক্রম বাসত্মবায়ন করা সম্ভব হয় না।

     

    কাঙ্খিত উন্নয়নের করিমগঞ্জ পৌরবাসী আধুনিক ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম রূপকার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সু-দৃষ্টি কামনা করেন।

                                                         

    পৌরসভার নাম ঃ

     

    করিমগঞ্জ পৌরসভা

    স্থাপিতঃ

     

    ২০০৩ খ্রিঃ

    আয়তন    t

      ৭.৮৫  বর্গ কিমি

    শ্রেণীঃ

     

    খ- শ্রেণী

    ওয়ার্ড সংখ্যা ঃ

     ০৯ (নয়) টি

    উপজেলাঃ

     

    করিমগঞ্জ

    জনসংখ্যাঃ

     ৪১,১০৮ জন

    জেলাঃ

     

    কিশোরগঞ্জ

     

     

    বিভাগঃ

     

    ঢাকা

     

     

     

17 comments: