Friday, September 4, 2020

এক নজরে কিশোরগঞ্জ জেলা

 

এক নজরে কিশোরগঞ্জ জেলা

হাওর-বাওর ও সমতলভূমির বৈচিত্র্যময় ভূ-প্রকৃতির একটি বিস্তীর্ন জনপদ হলো কিশোরগঞ্জ জেলা। ২৪ ডিগ্রী ০২ মিনিট থেকে ২৪ ডিগ্রী ৩৮ মিনিট উত্তর অক্ষাংশ নরসুন্দা নদী বিধৌত এ জেলার উত্তরে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জ, দক্ষিণে নরসিংদী, পূর্বে হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মনবাড়ীয়া এবং পশ্চিমে গাজীপুর ও ময়মনসিংহ জেলা অবস্থিত। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী সাহিত্যের অধ্যাপক, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাহিত্যিক নিরোদচন্দ্র চৌধুরী তা ‘‘The Autobiography of an unknown Indian’’ গ্রন্থের শুরুতেই গর্ব করে লিখেছেন kishoreganj is my birth place.লোকজ সাহিত্য সংস্কৃতিতে এ জেলার রয়েছে বিশাল ঐতিহ্য। এ জেলার লোকজ সংগীত, পালা, কীর্তন, কিস্সা, জারী, বিয়ের প্রবাদ-প্রবচন, পুঁথি, টপ্পা, নৌকা বাইচের গান, হাস্য রসাত্মক শে­াক, ধাঁ ধাঁ ইত্যাদি আমাদের সুপ্রাচীন ঐতিহ্যকে আজও স্বাতন্ত্র্য ও স্বকীয়তায় উজ্জ্বল রেখেছে।জনগণের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সরকারের ‘ভিশন ২০২১’ এর সফল রূপদানে মাঠ প্রশাসনের মৌলিক স্তর জেলা প্রশাসনকে ডিজিটাল প্রশাসন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সরকার গৃহীত একসেস টু ইনফরমেশন প্রকল্পের সাথে সমন্বয় সাধনের জন্য একটি যুগোপযোগী তথ্যসমৃদ্ধ ওয়েবসাইট খোলা সময়ের দাবী হয়ে দেখা দেয়। যাতে করে অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত হয় এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে শুধু দেশের মানুষ নয় প্রবাসীরাও জেলা প্রশাসনের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত হতে পারবেন, যা সুশাসন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে অনুপ্রেরণা যোগাবে। জনগণ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সেবাসমূহ ইলেক্ট্রনিক্স উপায়ে যে কোন সময় যে কোন স্থান থেকে যত দ্রুত সম্ভব গ্রহণ করতে পারবে।

 

 

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক ঈদগাহের সৃষ্টির ইতিহাস সম্পর্কে অনেক জনশ্রুতি প্রচলিত রয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, ১৮২৮ সালে এ মাঠের গোড়াপত্তন হয়। ওই বছরই স্থানীয় সাহেব বাড়ির উর্দ্ধতন পুরুষসৈয়দ আহমদ (র:) তার তালুক সম্পত্তিতে তারই ইমামতিতে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। পরে স্থানীয় হয়বতনগর দেওয়ান বাড়ির অন্যতম দেওয়ান মান্নান দাদ খানের বদান্যতায় এ মাঠের কলেবর বৃদ্ধি পায় এবং এর পরিধি বিস্তৃতি লাভ করে। দেওয়ান মান্নান দাদ খান ছিলেন বীর ঈসাখাঁর অধঃস্থন বংশধর। গোড়াপত্তনের পর বিভিন্নভাবে এবং বিভিন্ন কারণে এ মাঠের প্রতি মানুষের আকর্ষণ বাড়তে থাকে এবং ক্রমান্বয়ে এ মাঠের প্রসার ও প্রসিদ্ধি ঘটে এবং দেশ ও দেশের বাইরে এর সুনাম ছড়িয়ে পড়ে।



ভাষা ও সংস্কৃতি

People in this district wear hide and seek in the culture of people. Sakhina, Malua, Madhavi, Malanchi Kauerari region Kishoreganj Dr. Dinesh Chandra Sen, who lost the playback song, translated it into English, made us eligible for the world, among the thirty songs of his thirty, thirty of our former Mymensingh

Kishoreganj Jangalbari Coach King Laxan Hajra, Sushangraj Raghupati and Egarasindu Babuja's story legend. Kishoregonj, the first builder of the Bengali poet's book, Dwijbanshishi Das His daughter, Chandrabati, the original female poet of medieval Bengali literature. He is the heroine of Ramakrishna's fictional translation folklore.

The British Revolutionary Freedom Struggle: The Killing of the heroes and heroes of Kishoreganj is a great chapter in history. This chapter includes Bhuban Kapona Nam-Raja Prakashanatha, Barrister Bhupesh Gupta, Nagenasarkar, Bibren Chakraborty, Jamiyat Ali, Gangaish Sarkar, Wallinewaz Khan, Rebati Baran, and many famous freedom fighters, heroes of these people.

 

Language and Culture:

 

Language: Every country has its own regional language outside the standard language system. There are many upazilas of Kishoreganj district where many contradictions are made for the regional language. That is, in all, Kishoreganj's own language style has given people an unique feature of this region.

A major feature of the language system of this district is that while talking here many times people use the words of the past to be used in the current time. For example, I did not like, I did not, I did not think so. These words are usually used in the pure sense of the past. For example (in sadhu), 'I do not eat at home' (in the same language) 'I do not eat in his house'. But in Kishoreganj region these words are used in spoken words in the present sense. As I did not eat (I did not eat), I did not (I did not).

As well as regional languages of Kishoreganj, local residents of the remote Haoror upazila of Ashgram have a native language, which is difficult to understand except for the local residents. The local language of the language is 'Saheum Language'. Some examples of language languages are as follows: Tiga-cigarette or bidi 'tigera barra' in Sierra, that is, give me a cigarette or bidi. In the many shops and shops of the district, employers and employees use an inaccurate sign language. The origin of this language is mainly due to the demand for business confidentiality. Although it is not known when and how this sign language is created, it is known that in these traditions the traditions of this language have been widely used in ancient times.

 

Culture: Although the ancientity of heritage, the universal prevalence of culture practice in Kishoreganj district is not very old. In the end, at the end of the nineteenth century, the people of this region came forward gradually in the process of extensive culture. Around the big business center and the commercial area, culture groups of this district are developed around this district.

There is no specific idea about the beginning of the drama in Kishoreganj district. However, in the sixth decade of the nineteenth century, invited artists from West Bengal of India came to Bhairab and served the trip Ramlila. On the other hand, in 1883, Nikki Police Station was found to be the beginning of the drama by foreign merchants. In 1935, a dramatized organization called 'Nikki Theater' was formed in the locality of Tangail sub-divisional sub-divisional drama Pagal, a local Ramani Prasad Talukder in Nikoli Upazila. This man plays a dramatic drama based on the drama story of Krishna Kirtan, Radhakrishna, in the banner of Nikli Theater.

In the thirties of the twentieth century, Benimadhab Bhatracharya of Bhairab formed a journey group named 'Bhairab Oprah'. On the occasion of the worship of the Hindu community, Jatrabhinera was invited to invite the jatraadala from Kolkata besides the Bhairab opera.

In 1948, 'Young Man's Progressive Association' was organized in association with a number of educated culture workers. That year, 'Tipu Sultan' was played by Mahendra Gupta's play. In this role, the present-day President Zillur Rahman and literary Milanat Ali, in the role of co-hero, did a great deal of praise by acting fluent in the role of Runei Begum and Sufia respectively. These two famous personalities were praised by playing the female role of 'Azan' in Bhairab.

After Independence, a new dimension was added to Kishoreganj's cultural courtyard. In the new revival centered around the Arts Council of the district, the drama and musical compositions are started here. At the end of the festival, palanquin, baulogan, drama and jatrapala's seats were sitting. Still, there are many Baul songs coming from different regions of the country, bringing the famous Baul musicians. The Shishu Academy plays an important role in the development of the next day artistic artist to enrich the cultural scene of the district.

 Above all, Kishoreganj is the name of a glorious district in the cultural field. Kishoreganj district's contribution to drama, jatropala, radio, tele



খেলাধুলা ও বিনোদনঃ

খেলাধুলাঃ প্রাচীনকাল থেকেই কিশোরগঞ্জ জেলায় নানাধরনের ক্রীড়ানুষ্ঠানের আয়োজন হয়ে থাকে। বর্তমানেও এ জেলা খেলাধুলার ঐতিহ্যগত ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রেখে স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়াক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখছে। 

খেলাধুলা ও বিনোদন শব্দ দুটি একে অপরের পরিপূরক। কথাটি কিশোরগঞ্জ জেলার সাথে খুবই সামঞ্জস্যপূর্ণ। কেননা প্রাচীনকাল থেকেই এ জেলার খেলাধুলাকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হয়ে আসছে নানা বিনোদনমূলক অনষ্ঠান। বিয়ে কিংবা সুন্নাতে খাৎনা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে জমজমাট লাঠিখেলার আয়োজনের রীতি এখনও এ অঞ্চলের মানুষকে আমোদিত করে। একদল লোক পায়ে ঘুঙ্ঘুর পরে বিচিত্র পোশাকে ঢোল বাদ্যযন্ত্রের তালে একজন দুটি লাঠি হাতে পরস্পরের সাথে লাঠালাঠি করতো। এছাড়াও এ জেলায় অঞ্চলভিত্তিক বেশকিছু জনপ্রিয় খেলাধুলা ছিল। তার মধ্যে তাড়াইল উপজেলার জাওয়ার এলাকার ষাড়ের লড়াই, ঘোড়া দৌড়, সদর উপজেলার বৌলাই ও বিন্নাটি গ্রামের লাঠিখেলা। একসময় কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর অঞ্চলে একচইল্ল্যা বা হুমলি খেলা অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল। 

রাখাল ছেলেদের মাঝে জনপ্রিয় খেলা ছিল ভাইয়া ডুকু বা গোল্লাছুট খেলা, মনগুডা খেলা।। এছাড়া লাঠিম, ডাংগুটি, হাড়াইয়া ইত্যাদি খেলা। মেয়েদের খেলাধূলার মধ্যে ছিল পলাপলি কানামাছি, গুটি লুকানো, তোপাভাতি ইত্যাদি। 

পাকিস্থান আমল থেকেই এ অঞ্চলে ফুটবল ছিল অত্যন্ত জনপ্রিয় খেলা। এ জেলার অনেক কৃতি ফুটবলার জাতীয় পর্যায়ে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুনাম বয়ে আনেন। 

কিশোরগঞ্জ সদরে দুটি স্টেডিয়াম রয়েছে, পাশাপাশি বিভিন্ন উপজেলাতেও বেশ কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী খেলার মাঠ রয়েছে, যেখানে নিয়মিত ক্রীড়াচর্চা হয়ে থাকে। গুরুদয়াল সরকারী কলেজ মাঠ, বাজিতপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ডাকবাংলোর মাঠ, কটিয়াদীর বোয়ালিয়ার মাঠ, ভৈরবের ষ্টেডিয়াম উল্লেখযোগ্য। এসব মাঠে কাবাডি, দাড়িয়াবান্দা, ফুটবল, ক্রিকেট ইত্যাদি খেলা নিয়মিত আয়োজন করা হয়। 

এ জেলার বিস্তীর্ন জনপদ হাওর অঞ্চলের অন্যতম জনপ্রিয় ক্রীড়া ইভেন্টের না সাঁতার। দক্ষিন এশিয়ার সর্ববৃহৎ ক্রীড়া প্রতিযোগীতা সাফ গেমসে সাঁতারে স্বর্নপদক জয় করে এ জেলাকে গর্বিত করেছেন নিকলী উপজেলার সোনার ছেলে কারার মিজান।

 

বিনোদনঃকিশোরগঞ্জে প্রচলিত পালাগান, যাত্রা, মেলা, বাউলগান, পুঁথি, জারী এগুলো আজ আমাদের দেশে লোক সাহিত্যের মর্যাদা লাভ করেছে। প্রাচীন ময়মনসিংহের বর্ধিষ্ণু জনপদ এই কিশোরগঞ্জ জেলার আদি বাঙ্গালী মহিলা কবি চন্দ্রাবতী কিংবা তার পিতা দ্বিজ বংশীদাস যেসকল পালাসাহিত্য রচনা করেছেন, তা কিশোরগঞ্জের লোকজ ভান্ডারকে সমৃদ্ধ ও পরিচিত করেছে। একইসাথে বৈষ্ণব পদাবলীসহ পালাগান, মলুয়া-চাঁদ বণিকের কাব্য, মলুয়া এবং দেওয়ানা পালা গানের পাশাপাশি কারবালার মর্মন্তদ কাহিনী নিয়ে মর্মস্পর্ষী জারীগান, ঘাটুগান, নৌকা বাইচের গান, সারিগান, কবি গান, পুথি পাঠ এবং বিয়ের রকমারী গান এখানে খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। শুধু গান কেন যাত্রাপালা, নাটক ও নাট্যপালা মঞ্চায়নেও এ জেলার রয়েছে গর্ব করার মত সমৃদ্ধ ইতিহাস। 

এছাড়াও বিনোদনের জন্য এ জেলায় রয়েছে ২০ টি সিনেমা হল এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভৈরব ও আশুগঞ্জের মধ্যে মেঘনা নদীর উপর স্থাপিত বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য মৈত্রী সেতু। আধুনিক স্থাপত্যকলার কারনে সেটি বর্তমানে অন্যতম বিনোদনকেন্দ্র তথা দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

জেলার পটভূমি



ইতিহাস জাতির দর্পন বা আয়নাস্বরূপ। ইতিহাসের মাধ্যমেই জাতি তার প্রকৃত রূপ ও প্রকৃতি দেখতে পায়। ইতিহাসের আলোকেই মানুষ তার বর্তমান ও ভবিষ্যত চলার পথ অনুসন্ধান করে। কিশোরগঞ্জ জেলার ইতিহাস সুদীর্ঘ এবং তার ঐতিহ্য ব্যাপকভাবে প্রসারিত। প্রশাসনিক পরিসরে কিশোরগঞ্জ জেলা দেশের অন্যতম বৃহত্তম জেলা হিসেবে পরিচিত,সর্বজনস্বীকৃত । গ্রাম বাংলার শাশ্বত রূপ বৈচিত্র ও সোনালী ঐতিহ্যের ধারায় কিশোরগঞ্জের রয়েছে একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস । ১৭৮৭ সালের ০১ মে ভারতীয় উপমহাদেশের এক সময়কার বৃহত্তম জেলা ময়মনসিংহ প্রতিষ্ঠিত হয়। আজকের কিশোরগঞ্জ জেলা তখনকার ময়মনসিংহের অন্তর্গত ছিল। ঐতিহাসিক তথা প্রমাণ বিশ্লেষন করে যদিও দেখা যায় বাজিতপুর, নিকলী, হোসেনপুর ও জঙ্গলবাড়ীর প্রাচীন আমেজ অনেক বেশী তথাপিও ঐতিহ্যবাহী জেলা হিসেবে কিশোরগঞ্জ আজ সর্বমহলে স্বীকৃত কেননা প্রাচীন ইতিহাস সমৃদ্ধ উপরোল্লিখিত অঞ্চলগুলো বর্তমান কিশোরগঞ্জের’ই অন্তর্গত । বিচ্ছিন্নভাবে প্রাপ্ত ইতিহাসের উপাদান বিশ্লেষন করে জানা যায় মহাকাব্যের যুগে এ অঞ্চল কামরূপ রাজ্যের অন্তর্গত ছিল। তারপরে গুপ্ত, বর্মন, পাল ও সেন বংশ রাজত্ব করে এ অঞ্চলে। তবে কোন বংশই এ অঞ্চল পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। তৎকালে এ অঞ্চলে  ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বাধীন রাজ্যের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। কিশোরগঞ্জের জঙ্গলবাড়ী ছিল স্বাধীন ক্ষুদ্র রাজ্যের পীঠস্থান। মধ্যযুগে আলাউদ্দিন হোসেন শাহের আমলে (১৪৯৩-১৫১৯) খ্রীঃ বৃহত্তর ময়মনসিংহে মুসলিম শাসন বিস্তৃত হয়। কোচ অধ্যুষিত সমগ্র কিশোরগঞ্জ অঞ্চল মুসলিম শাসনের অধীনে আসে সম্রাট আকবরের সময়।



১৮৬০ খ্রিষ্টাব্দে কিশোরগঞ্জ মহকুমার জন্ম হয়। মহকুমার প্রথম প্রশাসক ছিলেন মিঃ বকসেল। বর্তমান কিশোরগঞ্জ তৎকালীন জোয়ার হোসেনপুর পরগনার অন্তর্গত ছিল। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ প্রান্তেও কিশোরগঞ্জ এলাকাটি ‘‘কাটখালী’’ নামে সমধিক পরিচিত ছিল। বিজ্ঞজনের ধারণা ও জনশ্রুতি থেকে অনুমান করা হয় যে এ জেলার জমিদার ব্রজকিশোর মতান্তরে নন্দকিশোর প্রামানিকের ‘কিশোর’ এবং তার প্রতিষ্ঠিত হাট বা গঞ্জের ‘গঞ্জ’ যোগ করে কিশোরগঞ্জে’র নামকরণ করা হয়েছে।

১৮৬০ খ্রিষ্টাব্দে মহকুমা হওয়ায় সময় থানা ছিল তিনটি। যথা-নিকলী, বাজিতপুর ও কিশোরগঞ্জ। পরবর্তীতে ১৯৮৪ সালের ০১ ফেব্রুয়ারী ১৩ টি থানা নিয়ে জেলা ঘোষণা করা হয় এবং প্রথম জেলা প্রশাসক ছিলেন জনাব এম.এ মান্নান।

জঙ্গলবাড়ীর কোচ রাজা লক্ষন হাজরা, সুশংরাজ রঘুপতি আর এগারসিন্দুর বেবুদ রাজার কাহিনী কিংবদন্তী। বাংলা সাহিত্যের মঙ্গল কাব্যের প্রথম রচয়িতা দ্বিজবংশী দাসের পূন্যভূমি এ কিশোরগঞ্জ। তাঁরই কন্যা মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের আদি মহিলা কবি চন্দ্রাবতী। তিনিই রামায়নের সার্থক অনুবাদকারী ফোকলোর কাব্যের নায়িকা। এ জেলার মাটির পরতে পরতে লুকিয়ে আছে লোক সংস্কৃতি। সখিনা, মলুয়া, মাধবী, মালঞ্চী কইন্যার অঞ্চল কিশোরগঞ্জ। ডঃ দীনেশ চন্দ্র সেন যে হারানো গীতিকা সম্পদকে উদ্ধার করে ইংরেজীতে অনুবাদ করে আমাদেরকে বিশ্বের কাছে বরেণ্য করে তুলেছেন তার চুয়াল্লিশটি গীতিকার মধ্যে ত্রিশটি আমাদের পূর্ব ময়মনসিংহের।ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্নিগর্ভা কিশোরগঞ্জের বীরত্বগাঁথা আর বীর সন্তানদের নাম ইতিহাসের বিশাল অধ্যায়। এ অধ্যায়ের ভূবন কাঁপানো নাম-মহারাজ তৈলোক্যনাথ, ব্যারিষ্টার ভূপেশগুপ্ত, নগেনসরকার, বিবরেন চক্রবর্তী, জমিয়াত আলী, গণেশ সরকার, ওয়ালীনেওয়াজ খান, রেবতী বর্মনসহ অসংখ্য খ্যাতিমান স্বাধীনতা সংগ্রামী এ জনপদের বীর সন্তান।

শিল্পক্ষেত্রে এ জেলার অসংখ্য কীর্তিমান দেশ ও দেশের বাইরে রেখেছেন অসামান্য অবদান। তাদের নীরোদ চন্দ্র চৌধুরী, উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরী, সুকুমার রায়, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ডঃ ওসমান গণি এবং শিল্পপতি জহুরুল ইসলাম অন্যতম। জহুরুল ইসলাম কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মেডিক্যাল কলেজ।

কিশোরগঞ্জের সবচেয়ে বড় ঐতিহ্য হলো এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদগাহ শোলাকিয়া ঈদগাহ। প্রায় ৬.৬১ একর জমিতে অবস্থিত এ ঈদগাহে ঈদের জামায়াতে প্রায় দু’ লক্ষাধিক ধর্মপ্রান মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করে থাকেন।

জেলা প্রশাসন তার কার্যক্রম শুরুর সূচনালগ্ন থেকেই মাঠ পর্যায়ে সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান তথা মাদার অর্গানাইজেশন হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। অন্যান্য জেলা প্রশাসনের মতো কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসনও সরকারের কেন্দ্রীয় অংশ হিসেবে জেলার সার্বিক ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও সার্বিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড সূচারুরূপে সম্পন্ন করে আসছে। যেহেতু কিশোরগঞ্জ দেশের অন্যতম বৃহৎ জেলা সেহেতু এর কর্মকান্ডও অত্যন্ত বিস্তৃত। আর এ বিস্তৃত কার্যক্রমের সফল বাস্তবায়নও এ জেলা করে থাকে অত্যন্ত সুনিপুর্ণভাবে।

vision and even movies is undeniable.

কিশোরগঞ্জ জেলার পুরাকীর্তিসমূহ



কিশোরগঞ্জ জেলার পুরাকীর্তিসমূহ:
১. ঐতিহাসিক জঙ্গলবাড়ী: ঈশা খাঁর দ্বিতীয় রাজধানী
২. ঐতিহাসিক এগারসিন্ধুর দূর্গ: ঈশা-খাঁর ঐতিহাসিক দূর্গ
৩. কবি চন্দ্রাবতীর শিবমন্দির: বঙ্গের আদি মহিলা কবি চন্দ্রাবতীর স্মৃতিবিজড়িত মন্দির
৪. দিল্লীর আখড়া: মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীরের আমলে প্রতিষ্ঠিত দিল্লীর আখড়া